কক্সবাজারে ৬ষ্ঠ বারের মত শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখলেন এসআই মহসিন চৌধুরী

আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল :

সততা, মেধা ও সাহসীকতার এক অনন্য উদাহরণ চকরিয়া হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির উপরিদর্শক (এসআই) মহসিন চৌধুরী। তিনি পুলিশে যোগদান করার পর থেকেই পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে সুনাম অর্জন অব্যাহত রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় অস্ত্র উদ্ধারকারী ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন, ডাকাত ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারে সাহসীকতার জন্য বিশেষ অবদান রাখায় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে রেকর্ড টানা ষষ্ঠ বারের মত শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি জুন, জুলাই, আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাসিক সভায় মামলা তদন্ত, মাদক উদ্ধার, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলসহ পুলিশের যাবতীয় কাজে চৌকস দক্ষতা এবং নভেম্বর মাসে ৮ টি সাজা সহ ৩১টি তামিল/নিষ্পত্তি করে নভেম্বর মাসে শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে এসআই মহসিন চৌধুরীর হাতে স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা স্মারক, সনদপত্র ও নগদ অর্থ পুরষ্কৃত করা হয়।

জেলা পুলিশের কার্যালয় হতে সম্মাননা পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদগ্রহণ করছেন এসআই মহসিন চৌধুরী।

জানা যায়, এসআই মহসিন চৌধুরী হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদানের পর থেকেই বিট পুলিশিং কার্যক্রম, পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতার, এলাকার মাদক, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, অবৈধ জমি দখলসহ বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন এবং একটানা ছয়বার জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে পুরষ্কৃত হয়েছেন এই সাহসী অফিসার। এর আগে তিনি উখিয়া থানায় থাকাকালীন জুন মাসে জেলার শ্রেষ্ঠ হয়েছিলেন।

এ বিষয়ে মহসিন চৌধুরীর কাছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, আমি এ সম্মাননা ও পুরষ্কার পেয়ে খুবই আনন্দিত। এ পুরস্কার আমার মা-বাবার কাছে উৎসর্গ করছি।

জেলা পুলিশের কার্যালয় হতে সম্মাননা পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদগ্রহণ করছেন এসআই মহসিন চৌধুরী।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কারে আমার স্পৃহা আরো বাড়বে। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করতে এবং আমি কখনও অন্যায়ের সাথে আপোষ করি না। অন্যায়কারীকে আমি কখনো ছাড় দেই না।

তিনি বলেন, আমার এ সফলতা অর্জনের পেছনে জেলা পুলিশ সুপার, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকিসহ হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রম, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দায়িত্বের প্রতি তাদের আনুগত্য জড়িয়ে আছে।

শ্রেষ্ঠত্বের পুরষ্কার

আমাকে পুরষ্কৃত করার জন্য কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন), অতিঃ পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), অতিঃ পুলিশ সুপার (ডিএসবি), সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল), চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসিসহ সকলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পাশাপাশি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রাজীব ধর, এএসআই সোলায়মান খাঁন এবং চকরিয়া থানা ও হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির অন্যান্য সকল অফিসার ফোর্সের প্রতি।

তিনি আরও বলেন, এ পুরস্কারটি আমার দায়বদ্ধতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ভালো কাজ করতে আরও উৎসাহী করবে। সকলের ভালোবাসা নিয়ে নব উদ্যমে আরও ভালো কাজ করে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে দোয়া এবং আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিরস্ত্র) মহসিন চৌধুরী একজন দক্ষ ও অত্যন্ত পরিশ্রমী অফিসার। আগামীতে সে আরও ভালো করবে। আমি তার সফলতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে তিনি ১২ টি সাজা সহ ৩৫ টি ওয়ারেন্ট তামিল/নিষ্পত্তি সহ সামগ্রিক মূল্যায়নে জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হন।